শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

বেপরোয়া চাঁন মিয়া বাহিনী, দুই ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামে দুরুদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে বেধরক মারধোর ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে একই গ্রামের চাঁন মিয়া ও তার লোকজন। এসময় শ্বশুর দুরুদ মিয়াকে বাচাঁতে এগিয়ে গেলে হামলার শিকার হন দুরুদ মিয়ার মেয়ের জামাতা বাবুল মিয়া (২৭)। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ নিয়ে সোমবার (২১অক্টোবর) বিকেলে দুরুদ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামের বাসিন্দা দুরুদ মিয়ার সাথে চাঁন মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল।
গত (২০ অক্টোবর) রবিবার সন্ধ্যায় দুরুদ মিয়া স্থানীয় বিয়ানীবাজারস্থ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির নিকটে পৌঁঁছামাত্রই চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে ছমদ মিয়া ও ওয়াহিদ মিয়াসহকারে ৯-১০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দুরুদ মিয়ার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এবং দুরুদ মিয়াকে গাছের সাথে বেঁধে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে তাকে। এক পর্যায়ে দাড়ালো দা দিয়ে দুরুদ মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে চাঁন মিয়া বাহিনীর লোকজন। দুরুদ মিয়াকে বাচাঁতে তার মেয়ের জামাতা বাবুল মিয়া এগিয়ে আসলে চান মিয়া বাহিনীর লোকজন বাবুলের উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধোর করতে থাকে।

এক পর্যায়ে তাদের আত্ম-চিৎকারের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রক্তাক্ত দুরুদ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা বেঘতিক দেখে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে।

এঘটনায় সোমবার বিকেলে দুরুদ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রায় দেড় যুগ পূর্বে মামদপুরের আলোচিত আবদু মিয়াকে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে লাশ ফেলে রাখা হয়। এঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে আদালত চাঁন মিয়ার পুত্র ও চাঁন মিয়া বাহিনীর সদস্য আব্দুল আহাদকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল আহাদ পলাতক রয়েছে। এছাড়াও চান মিয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে বহু অপকর্মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এদিকে দিনারপুরের বহু অপকর্মের হুতা ও সাম্প্রতিক সময়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠা চান মিয়া বাহিনীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান এর সাথে করা হলে তিনি-বলেন, গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন ও কোপানোর ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি রেকডভুক্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com